Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

গাংনী ইউনিয়নের ইতিহাস

            ব্রিটিশ শাসনামলে আনুমানিক ১৯৩০ সালে বাগেরহাট মহকুমার অধিনে দারিয়ালা, চরকান্দি, নগরকান্দি, গাংনী, জিড়ানতলা, জয়খাঁ, বুড়ীগাংনী, বামনডাংগা, চাঁদপুর, শিয়ালী, ও মৌভোগ গ্রাম নিয়ে গাংনী ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে পঞ্চায়েত এবং পরবর্তীতে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। আনুমানিক ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে পঞ্চায়েত প্রথার মাধ্যমে প্রথম পঞ্চায়েত হন বাবু প্রসন্ন কুমার ঘোষ তার পর মোঃ আবদু শিকদার। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষনা করা হয়। ১৯৫৪ সালে প্রথম গ্রাম প্রেসিডেন্ট হন পবন মোল্লা তারপর পর্যায়ক্রমে উমেদ মোল্লা, মোঃ আঃ হাকিম শেখ মোঃ আঃ রহিম কাজী, মোঃ আব্দুল মজিদ শেখ, মোঃ আকিকার রহমান মোল্লা ও রুঙ্গু মিয়া শেখ গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব পালন করেন।১৯৬৭ সালে আঃ মজিদ শেখ প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোনীত হয় এবং তিনিই মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে মোঃ আঃ মজিদ শেখ, ইলিয়াচুর রহমান,শিকদার উজির আলী, শেখ হুমায়ুন কবির, মোঃ জাকির হোসেন, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ (ভারপ্রাপ্ত), শিকদার উজির আলী (২য় বার নির্বাচিত) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে তৎকালীন  প্রশাসক গাংনী ইউনিয়ন থেকে বামনডাঙ্গা, চাঁদপুর, শিয়ালী, ও বিলমৌভোগ গ্রামকে পৃথক করে ঘাটভোগ নামে আলাদা ইউনিয়ন গঠন করা হয়। বর্তমানে ১১টি ছোট বড় গ্রাম মিলিয়েই গাংনী ইউনিয়ন।

 

            গাংনী ইউনিয়নের নাম নিয়ে দুটি জনশ্রুতি রয়েছে। পূর্বে গাংনী ইউনিয়ন এর অধিকাংশ গ্রামেই হিন্দুদের আধিপত্য ছিল। ভাগ্যধর বিশ্বাস, নগেন মন্ডল ছিলেন গাংনী গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। তারাই প্রথম গাংনী ইউনিয়ন নামের প্রস্তাবকারী ছিল। অন্যটি হল, দারিয়ালা চরকান্দি, নগরকান্দি, গাংনী, বুড়ীগাংনী, বামনডাঙ্গা, চাঁদপুর, শিয়ালী সহ আরো কয়েকটি গ্রাম আঠারবাকী গাং এর তীরে অবস্থিত ছিল বলে গাং থেকে গাংনী ইউনিয়নের নামকরন করা হয়। তবে ঐ সময়ে নৌকাই ছিল গাংনী ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগ স্থাপনকারীবাহন।